উপজেলা পর্যায়ে কাজ করে এমন দপ্তরগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং উলেখযোগ্য অফিস হচ্ছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস । স্বাধীনতাত্তোর ১৯৭৩-৭৪ সালে সে সময়ে সার্কেল অফিসারের কার্যালয়ে ত্রাণ বিভাগ চালু করা হয়।ধীরে ধীরে এর কার্যক্রম বৃদ্ধি পেতে থাকে।বর্তমানে বাংলাদেশের সকল উপজেলায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস রয়েছে ।এছাড়া সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সার্কেল অফিসেও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস রয়েছে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নঅফিস বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীন।উক্ত অফিস ত্রাণ ও পুর্বাসন অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হয়।এছাড়া সার্বিকভাবে বাস্তবায়িত কর্মসূচী সমুহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তত্ত্বাবধান করে থাকেন।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মসূচী সরাসরি তত্ত্ববধানের জন্য জেলা পর্যায়ে রয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন অফিসারের কার্যালয়।
কার্যক্রমঃ
(ক) উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস (১) কাজের বিনিময়ে খাদ্য (২) কাজের বিনিময়ে টাকা (৩) টেষ্ট রিলিফ (৪) অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (৫) ভিজিএফ কর্মসূচীর মত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর বাস্তবায়ন করে থাকে।(৬) এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী সার্বিক ত্রাণ কর্মসূচীর যাবতীয় কাজ করে থাকে।তাছাড়া গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে বিশেষ বিশেষ সময় ত্রান সামগ্রী শীতবস্ত্র ,ঢেউটিন বিতরণ করে থাকে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী ও ত্রাণ কর্মসূচীর পাশাপাশি উন্নয়ন মূলক কাজ হিসাবে গ্রামীণ রাস্তায় ১০ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু নির্মাণ , সাইক্লোন সেন্টার ,বন্যাশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ ,মাটির কিলা নির্মাণ ও উপকূলীয় অঞ্চলে দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের ঘর নির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিশেষ ফান্ডের আওতায় গৃহ নির্মাণ করে থাকে।
উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সবচেয়ে কম জনবল নিয়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ কাজ বাস্তবায়ন করে থাকে।উপজেলা অফিসে কর্মরত একজন কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহকারী প্রতিবছর গড়ে তিন থেকে ছয় কোটি ( উপজেলা ভেদে কমবেশী ) টাকার সামাজিক নিরাপত্তা , উন্নয়ন মূলক ও ত্রাণ কার্যক্রম করে থাকে।
সেবার ধরণ/ কর্মসূচী | সেবা/ কর্মসূচী | সেবা প্রদান/প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অসুাবধা সমূহ |
| ||
নাগরিক পর্যায় | সরকারী পর্যায় | ||||
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী | কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী | · বরাদ্দ অপর্যাপ্ত · খাদের ও মাটির পরিমাপ গ্রহনের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয় · প্রকল্প বাস্তবায়নপি,আই,সি কে আনুষাংগিক খাতে কম বরাদ্দ দেয়া হয় । | · যথা সময়ে বরাদ্দ প্রদান করা হয় না · জনবলের অভাবে পর্যবেক্ষন করা যায় না · জনবলের অভাবে কাজ বাস্তবায়নে অধিক সময় ব্যয় হয় । · বরাদ্দ প্রদান হতে অনুমোদন প্রক্রিয়া জটিল ও সময় সাপেক্ষ · উপজেলা ওয়ারী (সদর) পাকা কাজের জন্য সঠিক নীতিমালা এবং নগদায়নের বিষয়ে সপক্ষীকরণ | ||
টেষ্ট রিলিফ | · বরাদ্দ কম থাকায় অধিক সংখ্যক দরিদ্র জনগোষ্টিকে এই কর্মসূচীর আওতায় আনা সম্ভব হয় না এবং · শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনের তুলনায় কম বরাদ্দ হওয়ায় তেমন একটা কাজে আসেনা · নগদায়নের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক মূল্যের সাথে বাজার মূল্যের ব্যবধান বিস্তর । | · যথা সময়ে বরাদ্দ প্রদান কার হয় না · জনবলের অভাবে যথাযথ ভাবে তত্তাবধান করা সম্ভব হয় না · অফিস ব্যবস্থাপনা কোন অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়না · নির্ধারিত বাস্তবায়ন কাল প্রয়োজনের তুলনায় কম | |||
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী | অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী | · ব্যাংকে হিসাব খোলা ঝামেলা যুক্ত · প্রতি ইউনিয়নে ব্যাংক না থাকায় উপজেলা সদরে আসা ব্যয় বহুল · সাপ্তাহিক দুই দিন বন্ধ থাকায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় । · প্রতি সপ্তাহে টাকা প্রদানে ব্যাংক অনীহা দেখায় · টাকা উত্তোলনে ব্যাংক সহযোগিতা করেনা · বরাদ্দ কম থাকায় অধিক সংখ্যাক দরিদ্র জনগোষ্টি এই কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না · বাজার মূল্যের চেয়ে সরকারী নির্ধারিত শ্রমমূল্য কম । | · ট্যাগ অফিসারদের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি করায় এবং তাদের বিভাগীয় দায়িত্ব থাকায় এই কর্মসূচী যথাযথ ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেনা · আনষংগিক ,জ্বালানী খাত ও সম্মানী ভাতা যথা সামান্য প্রদান করা হয় । ফলে ট্যাগ অফিসারগণ দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করে । · বিভাগীয় লোকবল না থাকায় সঠিক ভাবে কাজ তত্ত্বাবধান করা যায় না । · প্রতিবেদন প্রের প্রক্রিয়া জটিল · মাটি কাটার পরিমাণ নির্ধারণ থাকায় দূরত্বভেদে সঠিক মাটি কাটা সম্ভব হয়না · বরাদ্দ যথাসময়ে পাওয়া যায় না · ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর বর্তমান কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান · জেল কমিটি উপজেলা কমিটিতে গণ্যমান্য শিক্ষক, সেচ্ছাসেবী সংগঠক ও মহিলা প্রতিনিধি নির্বাচনে জটিলতা। | ||
উন্নয়ন মূলক | ব্রীজ কালভার্ট, বন্যাশ্রয়, সাইক্লোন সেন্টারসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ। | · বরাদ্দের অপ্রতুলতা। · অনেক সময় প্রয়োজনীয় স্থানে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয় না। · বরাদ্দের সাথে বাস্তবায়ন সামঞ্জস্যতা থাকে না। · রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সঠিক স্থানে নির্মাণ করা হয় না। | · বরাদ্দ যথা সময়ে পাওয়া যায় না। · উপজেলা পর্যায়ে জনবলের অভাবে সঠিক তত্ত্বাবধান করা যায় না। · অনুমোদন প্রক্রিয়া জটিলতার কারণে কাজ বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়। · প্রকল্প বাস্তবায়নে অফিস ব্যবস্থাপনা বরাদ্দ দেয়া হয় না। · চাহিদা মোতাবেক লজিস্টিক সাপোর্ট পাওয়া যায় না। · ব্রীজের স্থান প্রকল্প নির্বাচনে সঠিক নীতিমালার অভাব
| ||
সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী | ভিজিএফ কর্মসূচী | · বরাদ্দ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় অধিক সংখ্যক দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। · পরিবার প্রতি বরাদ্দের পরিমাণ কম। · বছরে মাত্র এক বা তিন মাস এই কর্মসূচী চালু থাকে। · খাদ্যশস্য পরিবহনে যত সামান্য টাকা প্রদান করা হয়। · সিস্টেমলসের জন্য কোন ভর্তুকী না থাকায় নির্ধারিত পরিমাণ সহায়তা হতে উপকার ভোগীরা বঞ্চিত হয়। · ইউনিয়ন ভিত্তিক স্থায়ী তালিকা না থাকায় সহায়তা প্রদানের সময় দ্রুত তালিকা প্রণয়ন করা হয়। এতে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম সংঘটিত হয়। | · বরাদ্দ প্রাপ্তি হতে সহায়তা প্রদানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কম থাকায় যথাযথভাবে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যায়না। · খাদ্যশস্য বিতরণ কালে দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার/রিলিফ অফিসাদের জন্য কোন সম্মানীভাতা না থাকায় যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে না। · কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য আলাদা কোন অর্থ বরাদ্দ করা হয় না। · সুনির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা নাই। · রাজনৈতিক প্রভাব (তালিকা তৈরীতে) | ||
ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচী | ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ | · প্রয়োজনের তুলনায় সাহায্যের পরিমাণ কম। · আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে সাহায্য পাওয়া যায় না। · লোকবলের অভাবে সঠিকভাবে বিতরণ করা যায় না। · জনপ্রতিনিধির দ্বারা আক্রান্ত লোকজন হয়রানির শিকার হয়। · আক্রান্ত লোকেদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব না। | · অগ্রিম সাহায্যের বরাদ্দ না থাকায় সাহায্য পেতে দেরী হয়। · উপজেলা পর্যায় ত্রাণ সামগ্রী মজুদের ব্যবস্থা নেই। · লোকবলের অভাবে ত্রান সামগ্রী সঠিকভাবে তত্ত্বাবধান করা যায়না। · লজিস্টিক সার্পোটের অভাবে আক্রান্ত লোকেদের উদ্ধার করা যায় না। · প্রয়োজনীয় পরিমাণ আশ্রয় কেন্দ্র নেই। · বাস্তবায়নে সঠিক নীতিমালার অভাব | ||
ক্রমিক নং | বিভাগের নাম | সেবার নাম/ কর্মসূচীর নাম | দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা | কর্মসূচী গ্রহণ প্রক্রিয়া | কর্মসূচীর কার্যকাল | সংশ্লিষ্ট বিধি বিধান | সেবা প্রদানে ব্যর্থ হলে প্রতিকারের বিধান | ||
১. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | কাবিখা (সাধারণ) | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | মনত্রণালয় হতে মোট বরাদ্দ ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরকে প্রদান করা হয়। ত্রাণ ও পুনর্বাসন তা জেলা প্রশাসক বরাবর বরাদ্দ প্রদান করে। জেলা প্রশাসক তা উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের/ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং তা ইউপির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। | বরাদ্দ প্রদান হতে ৫০ দিন। সরকার প্রয়োজন মনে করলে তা বৃদ্ধি করতে পারে। | গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচীর নীতিমালা। | জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার | ||
২. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | কাবিটা (সাধারণ) | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | মন্ত্রণালয় হতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরকে বরাদ্দ প্রদান। ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর তা জেলা প্রশাসককে। জেলা প্রশাসক প্রদান করে তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার/ উপজেলা চেয়ারম্যানকে এবং ইউপি প্রকল্প গ্রহণ করে উপজেলা কমিটিতে প্রেরণ করে। জেলা কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় জেলা প্রশাসক বরাবর। জেলা কর্ণধার কমিটির অনুমোদনের পর জিও আকারে তা উপজেলা কমিটির নিকট প্রেরণ করা হয়। উপজেলা কমিটি ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে। | ঐ | ঐ | ঐ | ||
৩. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | কাবিখা (বিশেষ) | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | মন্ত্রণালয় সরাসরি নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যদের বরাবর বরাদ্দ প্রদান করে। সংসদ সদস্যগণ প্রকল্প গ্রহণ করে তা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করে। জেলা প্রশাসকগণ তা জি ও করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রদান করে এবং মাননীয় সংসদ সদস্য কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হয়। | ঐ | ঐ | ঐ | ||
৪. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | কাবিখা (বিশেষ) | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | মন্ত্রণালয় সরাসরি নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যদের বরাবর বরাদ্দ প্রদান করে। সংসদ সদস্যগণ প্রকল্প গ্রহণ করে তা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করে। জেলা প্রশাসকগণ তা জি ও করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রদান করে এবং মাননীয় সংসদ সদস্য কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হয়। | ঐ | ঐ | ঐ | ||
৫. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | (টেস্ট রিলিফ (সাধারণ) খাদ্য শস্য/নগদ টাকা | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | মন্ত্রণালয় কয়েকটি ধাপে বরাদ্দ প্রদান করে। অধিদপ্তর তা জনসংখ্যা ও দুঃস্থতা হারে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক বরাদ্দ প্রদান করে। জেলা প্রশাসকগণ উপজেলা ভিত্তিক প্রকল্প তালিকা দাখিল করিতে বলেন। উপজেলা কমিটি তা ইউনিয়ন ভিত্তিক জনসংখ্যা ও দুঃস্থতা হারে পুনঃ বন্টন করেন। ইউনিয়ন কমিটি প্রকল্প গ্রহণ করে উপজেলা কমিটিতে পাঠায়। উপজেলা কমিটি তা জেলা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পাঠায়। জেলা কমিটি অনুমোদনের পর জি ও আকারে তা উপজেলায় পাঠাবে এবং ইউনিয়ন কমিটির গঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হয়। | বরাদ্দ প্রদান হতে ৩০ দিন। সরকার প্রয়োজন মনে করলে তা বৃদ্ধি করতে পারে। | গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচীর নীতিমালা। | জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার | ||
৬. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | (টেস্ট রিলিফ (বিশেষ) খাদ্য শস্য/নগদ টাকা | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | মন্ত্রণালয় সরাসরি নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক মাননীয় সংসদ সদস্যদের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করে। মাননীয় সংসদ সদস্যগণ নীতিমালা মোতাবেক প্রকল্প প্রকল্প গ্রহণ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক তালিকা মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জি ও জারী করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি ও প্রাপ্তির পর মাননীয় সংসদ সদস্য কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হয়। | বরাদ্দ প্রদান হতে ৩০ দিন। সরকার প্রয়োজন মনে করলে তা বৃদ্ধি করতে পারে। | গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচীর নীতিমালা। | জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার | ||
৭. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী) | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | মন্ত্রণালয় জনসংখ্যা ও দুঃস্ততার ভিত্তিতে উপজেলা ভিত্তিক বরাদ্দ কর্মসূচী পরিচালক বরাবর প্রদান করে। কর্মসূচী পরিচালক তা উপজেলা প্রশাসনে প্রেরণ করে, জেলা প্রশাসক তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রেরণ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নামে যৌথভাবে পরিচালিত হিসাবে বরাদ্দের টাকা জমা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা জনসংখ্যা ও দুঃস্ততা অনুসারে বরাদ্দকৃত কার্ড সংখ্যা পুনঃ বন্টন করেন এবং প্রতি ইউনিয়নের জন্য ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করেন। ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে ইউনিয়ন কমিটি বরাদ্দ অনুসারে শ্রমিক বাছাই করেন এবং তাদের স্ব স্ব নামে ১০.০০ টাকার মাধ্যমে নিকটতম ব্যাংকে হিসাব খোলেন। উপজেলার ব্যাংক হিসাব হতে ইউনিয়ন কমিটি ব্যাংকে বরাদ্দ অনুযায়ী টাকা প্রেরণ করা হয়। শ্রমিকের ব্যাংক হিসাব খোলার পর কাজ শুরু করা হয় এবং প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন হিসাব হতে শ্রমিকের হিসাবে টাকা স্থানান্তর করা হয়। | বরাদ্দ প্রদান হতে ৪০ দিন। সরকার প্রয়োজন মনে করলে তা বৃদ্ধি করতে পারে। | অধিদপ্তরের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর বাস্তবায়ন নীতিমালা। | ঐ | ||
৮. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | ভিজিএফ কর্মসূচী (সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী) | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | অতি দরিদ্র/দিনমজুর বছরের যে সময়ে কাজ থাকে না। সেই সময় মন্ত্রণালয় ইউনিয়ন ভিত্তিকবরাদ্দ জেলা প্রশাসক বরাবর জারী করেন। জেলা প্রশাসক মমত্রণালয়ের বরাদ্দের আলোকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের অনুকুলে বরাদ্দ প্রদান করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্যশস্য বিতরণ করে। | বরাদ্দ প্রদান হতে ৪/১৫ দিন। সরকার প্রয়োজন মনে করলে তা বৃদ্ধি করতে পারে। | ভিজিএফ কর্মসূচী নীতিমালা | ঐ | ||
৯. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | জি আর (ক্যাশ) | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | অর্থ বছরের শুরুতে মন্ত্রণালয় প্রত্যেক জেলা প্রশাসক বরাবর নিদিষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেয়া থাকে । জেলাধীন কোন জায়গা বন্যা, ঝড় বা কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ সংগঠিত হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের মধ্যে নগদ সহায়তার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বিভিন্ন হারে টাকা বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর চেক প্রদান করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাষ্টার রোলের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিতরণের ব্যবস্থা নেয়। | প্রকিয়া কাল (১-৭দিন) | ত্রান সামগ্রী বিতরণ নীতিমালা
| ঐ | ||
১০. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | জি আর (চাল) | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | অর্থ বরাদ্দের ন্যায় খয়রাতি সাহায্য হিসাবে জেলা প্রশাসক বরাবর চাল বরাদ্দ করা হয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের চাহিদা মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্থদের মাষ্টাররোলের মাধ্যমে বিতরণ করেন। তা ছাড়া এতিমখানা, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভক্তদের খাবারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস হতে মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হয়। | প্রক্রিয়া কাল (১-৭দিন) |
|
| ||
১১. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | শীতবস্ত্র বিতরণ | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | তীব্র মাত্রায় শীতের সময় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর জেলা প্রশাসক বরাবর শীতবস্ত্র প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক দারিদ্রতা হার বিবেচনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তা পুনঃ বরাদ্দ দেন। উপজেলা প্রশাসন বরাদ্দ পাওয়া শীতবস্ত্র স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সরাসরি শীত ক্লিষ্ট জনদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে তা বিতরণ করেন। | প্রকিয়া কাল (১-৭দিন) | ডি আর আর ও | |||
১২. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | ঢেউটিন | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দ দেন। জেলা প্রশাসক দারিদ্রতার হারে তা উপজেলায় বরাদ্দ প্রদান করেন। উপজেলা প্রশাসন নীতিমালা মোতাবেক টিন প্রতি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করেন। মনোনীত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট আবেদন ফরম পুরণ করে, তাতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মাননীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশ গ্রহণ করেন। সুপারিশের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস হতে গরীবদের মধ্যে ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। | প্রকিয়া কাল (১-১৫দিন) | ঢেউটিন বিতরণ নীতিমালা | ডি আর আর ও | ||
১৩. | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর | সেতু কালভার্ট নির্মাণ | উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা | ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট উপজেলা বরাবর বরাদ্দ দান করেন এবং ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাইড্রোলিক ডাটাসহ ব্রীজ নির্মাণের স্থানের ছবিসহ সংশ্লিষ্ট মাননীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশ নিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরে পাঠান। প্রস্তাব অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সরেজমিন যাচাই বাছাই করেন এর পর পুনর্বাসন অধিদপ্তর কেন্দ্রিয়ভাবে দরপত্র আহবান করে। দরপত্র উপজেলা কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলের পর যাচাই, বাছাই এবং মূল্যায়নের পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঠিকাদারকে চুক্তিপত্র এবং নিরাপত্তা জামানত জমা দেয়ার জন্য পত্র প্রদান করেন এবং কার্যাদেশ প্রদান করেন। কার্যাদেশ দেয়ার পর, কার্যাদেশের কপি, তুলনামূলক বিবরণী,চুক্তিনামার কপি ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরে পাঠাতে হয়। সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের পর , বরাদ্দ প্রদান করা হয়, ব্রীজ সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের পর ত্রাণ ও পুর্নবাসন অধিদপ্তর হতে চূড়ান্ত প্রাক্কলন অনুমোদনের পর শতভাগ বিল পরিশোধ করা হয়। | প্রকিয়া কাল (৭৫দিন) | সেতু ব্রীজ বাস্তবায়ন নীতিমালা |
| ||
এ কার্যালয় হতে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হয়।
১। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচী (কাবিখা) ।
২। গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী (টি,আর) ।
৩। ভি,জি,এফ কর্মসূচী ।
৪। অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী ।
৫। সেতু/ কালভার্ট নির্মাণ কর্মসূচী ।
৬। যাবতীয় ত্রাণ কর্মসূচী ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের কার্যালয়,গোপালপুর,টাঙ্গাইল।
ফোন নম্বর-০৯২২৬-৭৫০২৩,
মোবাইল নম্বর-০১৭১২-৩০৫১৮৪
ই-মেইল-ruhulaminpio@gmail.com
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস